ওয়েব ডেস্ক,১২ই জানুয়ারি, কোলকাতা : "যদি ভারতকে জানতে চাও , তবে বিবেকানন্দ কে জানো, তার মধ্যে সব কিছুই ইতিবাচক , নেতিবাচক নেই " - বিবেকানন্দ সম্পর্কে রবি ঠাকুর এই কথাগুলি বলেন।
ঊনবিংশ শতকের ভারত যখন ভীষণ টালামাটাল অবস্থায়, ভারতের মানুষ যখন ভুগছে অস্তিত্ব সংকটে, তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রধান শিষ্য যুগপুরুষ নরেন্দ্রনাথ দত্ত ওরফে বিলে, যাঁকে পরবর্তীকালে সমগ্র বিশ্ব চেনে "স্বামী বিবেকানন্দ" নামে । আজ তাঁর একশো পঞ্চান্নতম জন্মদিন । আজ যুগনায়ক বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের জন্মদিন সবার সঙ্গে স্মরণ করছে বাঙালী সমাজও।
ভারত যখন ডুবে অন্ধকার ও হতাশায়, চলছে ব্রিটিশের রক্ত লালসা চরিতার্থ করা ভারতবাসীর রক্তে, জাতীর মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস তলানীতে, তখন হাল ধরেন পুরুষোত্তম বিবেকানন্দ। ভারতবর্ষ কে তিনি উপস্থাপন করলেন শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ১১ই সেপ্টম্বর, ১৮৯৩ সালে। তার বক্তব্যের সূচনাতেই তিনি বলেন "হে আমার আমারিকা নিবাসী ভাতৃ ও ভগিনীগণ" যা জয় করে নেয় উপস্থিত সকলের হৃদয়। হাততালির গুঞ্জন থামতেই চায় না। অবাক করেছিলেন শেতাঙ্গদের যাদের চোখে ভারত মানেই পিছিয়ে পড়া মানুষের দেশ যাদের নিজেদের কিছুই নেই। এই অপূর্ব মেধাবী মানুষটি হৃদয়বত্তা, তেজস্বিতা, জেদ ও স্বধীনচেতনার দ্বারা বিশ্বের দরবারে একটি অনন্যসাধারণ জায়গা আদায় করে নিয়েছিলেন।
তার অন্যতম শ্রেষ্ট অনুগামীনী ছিলেন ভগিনী নিবেদিতা, আরেক অসমান্যা নারী। গেরুয়া বস্ত্রধারী এই যুগপুরুষ বলেছিলেন "জীবে প্রেম করে যেইজন , সেজন সেবিছে ঈশ্বর ।" উপনিষদ ছিল তাঁর জীবনের সিলেবাস । "নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্য" অর্থ্যাৎ চাই শক্তি , নইলে সব বৃথা।"
ছোট্ট দুরন্ত বিলে বাল্যকালে গরিবদের নিজের মায়ের দামী শাড়ি লুকিয়ে দিয়েই হোক কিংবা ভারতমহাসাগরে সাঁতার কেটে "বিবেকানন্দ রক" প্রতিষ্ঠা করেই হোক, প্রমাণ করেছিলেন যে অসম্ভব কিছুই নয় , যদি তুমি চাও। কিন্তু ঈশ্বর টেনে নিলেন নিজের সন্তান কে বড্ড বেশি আগে। ৪ঠা জুলাই ১৯০২য়ে পাড়ি দিলেন অসীমে , এক অন্ধ জাতীর নবজাগরণ ও পুনর্জন্মের জনক হয়ে।
1 comment:
খুব ভালো লেগেছে আমার
Post a Comment