ওয়েব ডেস্ক , ৫ই ফেব্রুয়ারি :- প্রয়াণ দিবস পেরিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছে ওস্তাদ আল্লারাখাকেে দৈনিক ২৪ ওস্তাদ আল্লারাখাকে। ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম ১৯১৯ সালের এপ্রিলের ২৯ শে এবং তিরোধান ফেব্রুয়ারী ৩, ২০০০ সালে জম্মুর ফাগোয়ালে। পুরো নাম আল্লারাখা কুরেশি খান সাহেব। তিনি নেশা এবং পেশায় ছিলেন একজন বিখ্যাত সারেঙ্গি বাদক। এছাড়া তার আরেকটি পরিচয় আছে, যে তিনি বিখ্যাত তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হুসেন এর বাবা।
১২ বছর বয়সে তবলার প্রশিক্ষণের জন্য বাড়ি ছেড়ে যান। তিনি তার জীবন শুরু করেন ১৯৪০ সালে লাহোরে, প্রধান শিল্পির একজন সংগতকারী হিসাবে এবং তারপর বোম্বে "অল ইন্ডিয়া রেডিও"-তে একজন কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। সেখানেই প্রথম একক তবলা বাজানো শুরু করেন এবং বলা যায় তার অবদানেই বাদ্য জগতের দুনিয়ায় ও সঙ্গীত জগতে তবলার অবস্থান উন্নীত করেন। মানুষ বোঝে যে তবলার একটি পৃথক স্থান আছে।
কিছুকাল পরেই,তিনি ১৯৪৩-৪৮ সালে বেশ কিছু হিন্দি ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কাজও করেছিলেন।
ছবিতে এ আর কুরেশি নামে কাজ করতেন আল্লারাখা। তবে বড়ে গুলাম আলী খান, আলাউদ্দিন খান, বিলায়ত খান, বসন্ত রাই, আলী আকবর খান এবং, রবি শংকরের মত অসাধারন সব শিল্পীদের সাথে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সংগত করেছিলেন। এদের মধ্যে সংগতকারী হিসাবে রবি শংকরের সাথে তাঁর যুগলবন্দী সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়।
এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে ছবিতে মিউজিকের কাজ কমিয়ে দিয়ে পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান করতে শুরু করেন আল্লারাখা। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকেন।
শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ সাহেব ১৯৬০ সালে রবি শংকরের প্রধান সংগতকারী হিসাবে বিশ্বের খ্যাতি অর্জন করেন এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। ওস্তাদ আল্লারাখা খান সারা বিশ্ব জুড়ে তবলা বাজানোর মাধম্যে এই শিল্পকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করেন এবং যন্ত্রটির মর্যাদা এবং সম্মান উচ্চতার শিখরে নিয়ে যান।তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁকে ১৯৭৭ সালে পদ্মশ্রী এবং ১৯৮২ সালে সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৯৮৫ সালে বম্বেতে শুরু করেন আল্লা রাখা ইনস্টিটিউট অব মিউজিক। তাঁর তিন ছেলে জাকির হুসেন, ফজল কুরেশি ও তওফিক কুরেশি। সবাই বিখ্যাত তবলাবাদক। সবার কাছে আব্বাজী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে মুম্বইতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় তাঁর।
No comments:
Post a Comment