ওয়েব
ডেস্ক ১৮ই নভেম্বর ২০১৮ : বাংলায় সিপিএম ৩৪ বছরের রাজত্বে
পার্টিবাজি ছাড়া যেমন কিছুই করেনি , সেরকম মানিক সরকার ত্রিপুরার জন্যও কিছুই করেননি , শুধু মাত্র পার্টিবাজি ছাড়া।ভাবতে পারেন,
একটা ভালো চোখের হাসপাতাল পর্যন্ত নেই ত্রিপুরায় ।ত্রিপুরার মানুষ চোখের কোনো সমস্যা হলে কলকাতা আসে চোখ দেখানোর জন্য , আর বিজেপি আসার
পর অভাবনীয় কোনো উন্নতিও সেরকম কিছুই হয়নি ।
বিপ্লব দেবের
দায়িত্ব হীন মন্তব্ব্য শুনতে শুনতে ত্রিপুরার মানুষ ক্লান্ত , তারা আশায় আছে ত্রিমুল কবে আসবে সরকারে অন্তত সূত্রের খবর অনুসারে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ।তবে রাজ্যের মানুষ প্রচন্ড ক্ষিপ্ত মানিক সরকারের ওপর তাদের অভিমত তিনি ইচ্ছা কৃত ভাবেই মানুষের জন্য কিছুই করেননি , শুধু মাত্র ইনক্লাব
জিন্দাবাদ ছাড়া ", কিন্তু তাই বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্তা করা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না ।প্রসঙ্গত কিছু অজ্ঞাত পরিচয় লোক প্রাক্তন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে
আটকে রেখে ব্যাপক হেনস্তা করে, যা নিয়ে তীব্র
প্রতিবাদ করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ।শনিবার
দিল্লির এ কে গোপালন
ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ও আরএসএসের বর্বোরোচিত
হামলার শিকার হচ্ছেন দলের কর্মীরা। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বিজেপি–র শাসনে। দলীয়
কার্যালয় থেকে সাধারণ কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বারবার। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলেও অভিযোগ করেন
তিনি। ইয়েচুরি বলেন, ‘একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমরা নালিশ জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। ফের স্বরাষ্টমন্ত্রীকে জানাব।’ ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সিপিএমের নেতা–কর্মীর
ওপর আক্রমণ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাকে সামনে আনতে এদিন ‘ডেমোক্রেসি আন্ডার অ্যাটাক’
শীর্ষক একটি ৫৬ পাতার পুস্তিকাও
প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও পলিটব্যুরো সদস্যা
বৃন্দা কারাত। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গত ৬
মাসে সিপিএম নেতা–কর্মীদের ওপর যে সব আক্রমণ
হয়েছে, তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে ওই পুস্তিকায়।বিদ্যজনেদের একাংশের অভিমত
, এটা সত্যি যে মানিক সরকার
ত্রিপুরার জন্য কিছুই করেননি , এটাই সিপিএমের মানসিকতা কিন্তু আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না , তাদের আরো বক্তব্য , হাজার হোক মানিক সরকার তো এক সময়
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাকে অন্তত একটু সন্মান দেওয়া উচিত ওই পদটিতে দীর্ঘকালীন
ধরে রাখার জন্য ।
No comments:
Post a Comment