ওয়েব ডেস্ক ২রা ফেব্রুয়ারী ২০১৯: বাংলাকে বিজেপি শাসিত রাজ্য করার জন্য উঠে পরে লাগলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । এবার বড়মার সাথে দেখা করে তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন , রাজনৈতিক মহলের যার ব্যাখ্যা, বিজেপিকে প্রসারিত করার লক্ষেই এই কাজ । তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমা সমন্ধে নিশ্চই অবগত মোদীজি ,তা নাহলে বড়মার কাছে আশীর্বাদ চাইতে আসবেন কেন । তবে বাংলার মানুষের মন জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা রয়েছেন মোদীজির কাছে সেরকম কোনো নেতা আছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চাশ শতাংশ হতে পারবেন ? উত্তরটা সারা ভারতের মানুষ জানে ।
প্রশ্ন ছিল একটাই মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা কি আদৌ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন? গত কয়েক দিন ধরে এই প্রশ্ন তুলেই চাপ বাড়াচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একই কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। যদিও, শনিবার ঠাকুরনগরে এসে প্রথমেই সোজা বড়মার কাছে গিয়ে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদও নিলেন তিনি। প্রায় দশ মিনিট বড়মার ঘরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হাঁটু গেড়ে বসে বড়মার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পালটা প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিনমস্কার করে সৌজন্য দেখান বড়মাও। এ দিন বেলা ১১।৫০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ঠাকুরনগর পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সরাসরি যান বড়মার সঙ্গে দেখা করতে। পাশাপাশি ঠাকুবাড়ির মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। এর পরে বক্তব্যেও বার বার হরিচাঁদ ঠাকুর এবং বীণাপানি দেবীর নাম নিয়ে মতুয়াদের মন জয় করার চেষ্টা করার পাশাপাশি শাসক দলকেও চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও, মোদী যে মাঠে সভা করলেন, সেখানেই পালটা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।তবে এবার বিজেপি খুব চিন্তা ভাবনা করেই বাংলায় যে পা ফেলছে ষ্ট সহজেই অনুমেয় , কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার উন্নয়ন করে যাচ্ছে তাতে বিজেপির বৃথা চেষ্টা বলে অনেকেরই অভিমত ।
No comments:
Post a comment