ওয়েব ডেস্ক ১১ই মার্চ ২০১৯: রামস্বামী ভেঙ্কটরামান ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি একবার অভিযোগ করেছিলেন ইংরেজিতে "অত্যাধিক অপরাধীরা রাজনীতিতে "।সেই সময় সবাই চুপ করে থাকলেও ব্যাপারটা যে সত্যি সেটা সবাই জানতো । তার সময় কালে এর কোনো প্রতিকার না হলেও এবার সরকারি ভাবে তার প্রতিকার হচ্ছে । যা দাগি অপরাধীদের রাজনীতিতে এসে পিঠ বাঁচানোর পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে ভেস্তে যাবে । প্রসঙ্গত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের যেসব প্রার্থীদের অপরাধের পূর্বইতিহাস রয়েছে, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে সেই ইতিহাস নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন অন্তত তিনবার টিভিতে এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে।এই মর্মে যদিও ১০ অক্টোবর, ২০১৮-এ নির্দেশিকা জারি করা হয়, আগামি লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রয়োগ করা হবে এই শর্ত। প্রসঙ্গত, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে, এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে ২৩ মে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকেও তাদের প্রার্থীদের অপরাধের পূর্বইতিহাস থাকলে তার যথেষ্ট প্রচার করতে হবে। সোজা কথায়, যাঁরাই নির্বাচনে লড়ছেন তাঁরাই তিনটি পৃথক দিনে তাঁদের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ডের’ বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে, সে টিভি চ্যানেল হোক বা সংবাদপত্র।এমনকী যেসব প্রার্থীদের অপরাধের কোনো পূর্বইতিহাস নেই, তাঁদেরকেও সেকথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে। এর অর্থ হলো, প্রত্যেক প্রার্থীকেই এখন পরিবর্তিত ফর্ম ২৬ ভরতে হবে। এবং সংশ্লিষ্ট দলকে জানাতে হবে যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে বা কোনো পুরোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে “বাধ্য”।প্রার্থীরা নিজেরাই এই বিজ্ঞাপনের খরচ বহন করবেন কিনা, তা স্পষ্ট করে নি কমিশনের নির্দেশিকা, কিন্তু কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত খরচ হিসেবে এই অর্থব্যয় প্রার্থীকেই করতে হবে। কোনো দল যদি এই শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়, তাদের নির্বাচনী স্বীকৃতি প্রত্যাহার পর্যন্ত করতে পারে কমিশন।সংবাদপত্রের সংশ্লিষ্ট পেপার কাটিং জমা দিতে হবে প্রত্যেক প্রার্থীকে, এবং প্রতিটি রাজ্যে এই শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত কতজন প্রার্থী রয়েছেন, তার বিশদ বিবরণ জমা করতে হবে দলগুলিকে।এই নিয়মাবলীতে অনেক দাগি অপরাধীই যে পালানোর সুযোগ আর পাবেনা সেটা একরকম পরিষ্কার । আর রাজনৈতিক দলগুলো এই সব সমাজ বিরোধীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবে ।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকেও তাদের প্রার্থীদের অপরাধের পূর্বইতিহাস থাকলে তার যথেষ্ট প্রচার করতে হবে। সোজা কথায়, যাঁরাই নির্বাচনে লড়ছেন তাঁরাই তিনটি পৃথক দিনে তাঁদের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ডের’ বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে, সে টিভি চ্যানেল হোক বা সংবাদপত্র।এমনকী যেসব প্রার্থীদের অপরাধের কোনো পূর্বইতিহাস নেই, তাঁদেরকেও সেকথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে। এর অর্থ হলো, প্রত্যেক প্রার্থীকেই এখন পরিবর্তিত ফর্ম ২৬ ভরতে হবে। এবং সংশ্লিষ্ট দলকে জানাতে হবে যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে বা কোনো পুরোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে “বাধ্য”।প্রার্থীরা নিজেরাই এই বিজ্ঞাপনের খরচ বহন করবেন কিনা, তা স্পষ্ট করে নি কমিশনের নির্দেশিকা, কিন্তু কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত খরচ হিসেবে এই অর্থব্যয় প্রার্থীকেই করতে হবে। কোনো দল যদি এই শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়, তাদের নির্বাচনী স্বীকৃতি প্রত্যাহার পর্যন্ত করতে পারে কমিশন।সংবাদপত্রের সংশ্লিষ্ট পেপার কাটিং জমা দিতে হবে প্রত্যেক প্রার্থীকে, এবং প্রতিটি রাজ্যে এই শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত কতজন প্রার্থী রয়েছেন, তার বিশদ বিবরণ জমা করতে হবে দলগুলিকে।এই নিয়মাবলীতে অনেক দাগি অপরাধীই যে পালানোর সুযোগ আর পাবেনা সেটা একরকম পরিষ্কার । আর রাজনৈতিক দলগুলো এই সব সমাজ বিরোধীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবে ।
No comments:
Post a comment