ওয়েব ডেস্ক ১৯ই এপ্রিল ২০১৯: যার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে , একমাত্র সেই এই যন্ত্রনাটা উপলব্ধি করতে পারে ।সেই ব্যক্তিই একমাত্র বুঝতে পারে তার সাথে কি ঘটেছে । ইচ্ছা করলে কেন্দ্র সরকার জেট এয়ারওয়েজের সমস্যাটা আগে থেকেই সমাধান করতে পারতো, কিন্তু লোকসভা ভোট দেখেয়েও তারা সমস্যাটা তৈরী হতে দিল ।আগে থেকে সমাধান করল না , যদি মোদী সরকার করতো তাহলে এই হাল হতোনা জেট কর্মীদের । প্রসঙ্গত কেউ কাজ করছেন সংস্থা শুরুর দিন থেকে। এখন নতুন চাকরি খুঁজবেন কী করে, তা–ই ভাবছেন। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না, ২০ বছরেরও বেশি চাকরির পরে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ নেই। কেউ আবার এখনও আশা করছেন, ঘুরে দাঁড়াবে সংস্থা। এদের কেউ বিমানবন্দরে মাল ওঠানো–নামানোর কাজে যুক্ত। কেউ বা পাইলট। কেউ বিমানসেবিকা। দু–তিন মাস বেতন না পেলেও কাজে আসছিলেন যাঁরা। আজ তাঁদের সকলেরই পরিচয় ঝাঁপ বন্ধ করা জেট এয়ারওয়েজের কর্মী। সংখ্যাটা প্রায় ২০,০০০।
বুধবার সন্ধেয় বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, পুঁজির অভাবে আপাতত পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। তারপর থেকেই নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘জেট বাঁচান। আমাদের পরিবার বাঁচান।’ অভিযোগ উঠেছে, সরকার কিছুই করেনি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের প্রতি জেটের কর্মী সংগঠনের আর্জি, ‘অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন। পাশাপাশি, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তার তদন্ত হোক।’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জেটের নিজস্ব কর্মী ছাড়াও ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে কাজ করা ঠিকা কর্মীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।৫৩ বছরের জেট কর্মীর হাতে প্ল্যাকার্ড, চোখে জল। অফিসের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। শুধু পূজারী নন, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাহাকার করতে দেখা গেল জেটের হাজার হাজার কর্মীকে। দিল্লি, মুম্বই নানা জায়গায় ধর্ণায় বসলেন পাইলট, ইঞ্জিনিয়াররা। বুধবার রাতে জেটের শেষ উড়ান ছিল দিল্লি থেকে অমৃতসর। এমনকি মঙ্গলবার এমনও শোনা গিয়েছিল, পুঁজির অভাবে নাকি পুরোপুরি ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে পারে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমান সংস্থা। জেটের কাঁধে এই মুহূর্তে ৮,৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণের বোঝা। সেই সঙ্গে কর্মীদের অন্তত তিন মাসের বকেয়া বেতন। যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে বাতিল যাওয়া উড়ানগুলির টিকিটের দামও। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে জ্বালানি সংকট। এই বোঝা মাথায় নিয়ে সংস্থা আপাতত তাকিয়ে নিলাম প্রক্রিয়ার দিকে। যার ফলাফল বুঝতে এখনও অন্তত দু’তিন সপ্তাহ বাকি।জেটের পাইলটরা জানিয়েছেন, দিনে যেখানে ৬০০ বিমান উড়ত, সেখানে গত কয়েকদিনে সংখ্যাটা ছিল ৪ থেকে ৫। গতকাল থেকে সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থার দৈনন্দিন খরচ চালাতে এসবিআইয়ের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতা গোষ্ঠীদের কাছে ফের ৪০০ কোটি টাকা ঋণ চায় জেট। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি তা দিতে অস্বীকার করে। ফলে আপাতত আর কোনও রাস্তা খোলা থাকল না বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রীও জেটের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। অতএব সংস্থার হাল কী হতে চলেছে, তা দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়েছেন অনেকেই। কেন্দ্র সরকার চাইলে এই পরিস্তিতিই আসতোনা ।
বুধবার সন্ধেয় বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, পুঁজির অভাবে আপাতত পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। তারপর থেকেই নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘জেট বাঁচান। আমাদের পরিবার বাঁচান।’ অভিযোগ উঠেছে, সরকার কিছুই করেনি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের প্রতি জেটের কর্মী সংগঠনের আর্জি, ‘অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন। পাশাপাশি, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তার তদন্ত হোক।’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জেটের নিজস্ব কর্মী ছাড়াও ট্রাভেল এজেন্ট থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে কাজ করা ঠিকা কর্মীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।৫৩ বছরের জেট কর্মীর হাতে প্ল্যাকার্ড, চোখে জল। অফিসের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। শুধু পূজারী নন, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাহাকার করতে দেখা গেল জেটের হাজার হাজার কর্মীকে। দিল্লি, মুম্বই নানা জায়গায় ধর্ণায় বসলেন পাইলট, ইঞ্জিনিয়াররা। বুধবার রাতে জেটের শেষ উড়ান ছিল দিল্লি থেকে অমৃতসর। এমনকি মঙ্গলবার এমনও শোনা গিয়েছিল, পুঁজির অভাবে নাকি পুরোপুরি ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে পারে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমান সংস্থা। জেটের কাঁধে এই মুহূর্তে ৮,৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণের বোঝা। সেই সঙ্গে কর্মীদের অন্তত তিন মাসের বকেয়া বেতন। যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে বাতিল যাওয়া উড়ানগুলির টিকিটের দামও। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে জ্বালানি সংকট। এই বোঝা মাথায় নিয়ে সংস্থা আপাতত তাকিয়ে নিলাম প্রক্রিয়ার দিকে। যার ফলাফল বুঝতে এখনও অন্তত দু’তিন সপ্তাহ বাকি।জেটের পাইলটরা জানিয়েছেন, দিনে যেখানে ৬০০ বিমান উড়ত, সেখানে গত কয়েকদিনে সংখ্যাটা ছিল ৪ থেকে ৫। গতকাল থেকে সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থার দৈনন্দিন খরচ চালাতে এসবিআইয়ের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতা গোষ্ঠীদের কাছে ফের ৪০০ কোটি টাকা ঋণ চায় জেট। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি তা দিতে অস্বীকার করে। ফলে আপাতত আর কোনও রাস্তা খোলা থাকল না বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রীও জেটের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। অতএব সংস্থার হাল কী হতে চলেছে, তা দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়েছেন অনেকেই। কেন্দ্র সরকার চাইলে এই পরিস্তিতিই আসতোনা ।
No comments:
Post a comment