ওয়েব ডেস্ক ১৮ ই অক্টোবর ২০১৯: নাগরিকদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের কথা মাথায় রেখে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভোল পাল্টে দিতে ডিজিটাল ভারত কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল মোদী সরকার। শহর-গ্রামনির্বিশেষে দেশবাসীকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া উদ্যোগটি আদতে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে তেমন সুবিধা এনে দিতে পারেনি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে ভারতের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিভাজনের চিত্র উঠে এসেছে।
ভারতে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬৩ কোটিরও বেশি। তবে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে কমপক্ষে একজন আছেন, যিনি সত্যিকার অর্থে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। সেই ব্যক্তির গ্রামাঞ্চলে বাস করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।ডিজিটাল ভারত কর্মসূচিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকারি প্রশাসন সংস্কার করলে বিভিন্ন পক্ষের জন্য হরেক রকম সুযোগ-সুবিধা জোগানো সম্ভব। এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ে। আমলাতান্ত্রিকতার জট কমে। যোগাযোগ ও সমন্বয়ের উন্নতি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এর ফলে সর্বত্র ও সব সময় নাগরিক-কেন্দ্রিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি পরিষেবার জোগান ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়। তবে পুরো ব্যাপারটিই ক্রমাগত ডিজিটাল বিভেদের বাস্তবতায় আটকে আছে।ডিজিটাল বিভেদ বলতে যাঁদের ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অ্যাকসেস রয়েছে এবং যাঁদের নেই—তাঁদের মধ্যকার ব্যবধানকে বোঝায়। কোনো ব্যক্তির অবস্থান, আয়, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা ও বয়সের ওপর ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার বা অ্যাকসেস নির্ভর করে।ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে অ্যাকসেস স্তরে একেবারে ভিন্নতা দেখা যায়। উত্তরে বিহার ও উত্তর প্রদেশ এবং পূর্ব ওডিশার মতো রাজ্যগুলো মানব উন্নয়নের সূচকগুলোতে খুব একটা উন্নতি করতে পারেনি। ইন্টারনেট ব্যবহারের ঘনত্বের ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান উল্লেখযোগ্য নয়।
ভারতে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬৩ কোটিরও বেশি। তবে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে কমপক্ষে একজন আছেন, যিনি সত্যিকার অর্থে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না। সেই ব্যক্তির গ্রামাঞ্চলে বাস করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।ডিজিটাল ভারত কর্মসূচিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকারি প্রশাসন সংস্কার করলে বিভিন্ন পক্ষের জন্য হরেক রকম সুযোগ-সুবিধা জোগানো সম্ভব। এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ে। আমলাতান্ত্রিকতার জট কমে। যোগাযোগ ও সমন্বয়ের উন্নতি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এর ফলে সর্বত্র ও সব সময় নাগরিক-কেন্দ্রিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি পরিষেবার জোগান ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়। তবে পুরো ব্যাপারটিই ক্রমাগত ডিজিটাল বিভেদের বাস্তবতায় আটকে আছে।ডিজিটাল বিভেদ বলতে যাঁদের ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অ্যাকসেস রয়েছে এবং যাঁদের নেই—তাঁদের মধ্যকার ব্যবধানকে বোঝায়। কোনো ব্যক্তির অবস্থান, আয়, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা ও বয়সের ওপর ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার বা অ্যাকসেস নির্ভর করে।ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে অ্যাকসেস স্তরে একেবারে ভিন্নতা দেখা যায়। উত্তরে বিহার ও উত্তর প্রদেশ এবং পূর্ব ওডিশার মতো রাজ্যগুলো মানব উন্নয়নের সূচকগুলোতে খুব একটা উন্নতি করতে পারেনি। ইন্টারনেট ব্যবহারের ঘনত্বের ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান উল্লেখযোগ্য নয়।
No comments:
Post a comment