ওয়েব ডেস্ক ২৪ শে জানুয়ারী ২০২০ : মাত্র আট মাসের মধ্যে আত্ম-প্রত্যয়ী বিজেপির এই অবনমন কিভাবে হলো? বিজেপির বর্তমান সভাপতি (গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিয়েছেন) জগত প্রসাদ নাড্ডার কাছে এক বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন প্রাক্তন সভাপতি প্রধান অমিত শাহ। হিমাচল প্রদেশ থেকে উঠে আসা নাড্ডা অপেক্ষাকৃত সজ্জন বলে বিবেচিত। বিপদের সময়ের সম্পদ বলে বিবেচিত হলেও এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার করণীয় কী হবে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।তাছাড়াও বিশালাকার ক্ষমতাসীন একটি দলকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখার মতো ব্যক্তিত্ব ও মনোবল নাড্ডার আছে কিনা তা এখনও অজানা। এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েছেন যখন বিজেপির মূল ভোট বিজয়ী নরেন্দ মোদির ভাবমূর্তি পড়তির দিকে। ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো দলটি বিরোধীদের মারাত্মক তোপের মুখে পড়েছে।
গত দুই বছরে আসামে এনআরসি নিয়ে বিজেপির প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। সেখানে একসময় দলটির প্রতি সমর্থন বাড়তে থাকলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। অমিত শাহ অবৈধ বাংলাদেশিদের ঘুণপোকা আখ্যা দিয়ে তাদের বিতাড়িত করার কথা বলে এসেছেন। কিন্তু আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল এখন বলেছেন, ইতোমধ্যে বিদ্যমান ছয়টি আটক কেন্দ্রের পাশাপাশি নতুন নির্মিত আরও দশটি আটক কেন্দ্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো হলে তাদের কেবল খাবার আর আশ্রয় দেওয়া হবে। আর কিছুই এ থেকে পাওয়া যাবে না।আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, আসামে লাখ লাখ বিদেশি থাকার যে দাবি বিজেপি সমর্থকরা এতোদিন করে এসেছেন সরকারিভাবে তা প্রমাণ করা যায়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত এনআরসিতে তিন কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে কেবল মাত্র কয়েক লাখই নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারেনি।
আসামের এনআরসি পর্বতের মুসিক প্রসব। মুসলমানদের থেকে বেশি হিন্দু বাদ পড়েছে। বিজেপির প্রচারণার বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। বিপরীতে ভারতীয় এবং বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোতে দরিদ্র মুসলমান ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের খবর প্রচারিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ ও বহু জাতিগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি। অবৈধ বাংলাদেশি শনাক্ত করা নিয়ে চুপ হয়ে গেছেন মোদি তবে আসামের এনআরসি নিয়ে সব হুঁশিয়ারি ও সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে বিষ ছড়িয়ে চলেছেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ আগ্রাসী নীতি অব্যাহত রেখেছেন। আর বিজেপিও এনআরসি পর্যালোচনা বা বিরত থাকার চিন্তা করছে না। সঞ্জয় হাজারিকা ও হর্শ মান্দারের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীরা সব কর্তৃপক্ষের ন্যায্য আচরণ চেয়ে আবেদন করলেও নিপীড়িতদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টও খুব বেশি কোনও ভূমিকা রাখেনি।
কয়েক মাসের মাথায় এখন লাখ লাখ মানুষের (যাদের বেশিরভাগই মুসলমান) অসন্তোষ ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এই ক্ষোভ আসাম ছাড়িয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা সরাসরি এনআরসি নিয়ে বিজেপির বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণার ফলাফল।
কেবলমাত্র আসামে বিজেপির মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাব প্রদর্শণ করে স্বীকার করেছেন যে, অসমিয়া কট্টরপন্থীরাই নিজেদের রাজ্যের ক্ষতি করছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এনিয়ে চুপ থেকেছেন। আর সম্মিলিতভাবে বিজেপি নেতারা আসামের এনআরসি নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে অবজ্ঞা করেছেন।
নিজের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা নাড্ডার ওপর ছেড়ে দিয়ে অমিত শাহ এখন চুপ করে গেছেন। জাতীয় জনসংখ্যা তালিকায় (এনপিআর) পিতামাতার জন্ম রেকর্ড বাধ্যতামূলক, নাকি ঐচ্ছিক হবে এমন সব আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এখন অমিত শাহ কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাদভেদকারকে সামনে ঠেলে দিচ্ছেন।
গত দুই বছরে আসামে এনআরসি নিয়ে বিজেপির প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। সেখানে একসময় দলটির প্রতি সমর্থন বাড়তে থাকলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। অমিত শাহ অবৈধ বাংলাদেশিদের ঘুণপোকা আখ্যা দিয়ে তাদের বিতাড়িত করার কথা বলে এসেছেন। কিন্তু আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল এখন বলেছেন, ইতোমধ্যে বিদ্যমান ছয়টি আটক কেন্দ্রের পাশাপাশি নতুন নির্মিত আরও দশটি আটক কেন্দ্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো হলে তাদের কেবল খাবার আর আশ্রয় দেওয়া হবে। আর কিছুই এ থেকে পাওয়া যাবে না।আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, আসামে লাখ লাখ বিদেশি থাকার যে দাবি বিজেপি সমর্থকরা এতোদিন করে এসেছেন সরকারিভাবে তা প্রমাণ করা যায়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত এনআরসিতে তিন কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে কেবল মাত্র কয়েক লাখই নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারেনি।
আসামের এনআরসি পর্বতের মুসিক প্রসব। মুসলমানদের থেকে বেশি হিন্দু বাদ পড়েছে। বিজেপির প্রচারণার বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। বিপরীতে ভারতীয় এবং বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোতে দরিদ্র মুসলমান ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের খবর প্রচারিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ ও বহু জাতিগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি। অবৈধ বাংলাদেশি শনাক্ত করা নিয়ে চুপ হয়ে গেছেন মোদি তবে আসামের এনআরসি নিয়ে সব হুঁশিয়ারি ও সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে বিষ ছড়িয়ে চলেছেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ আগ্রাসী নীতি অব্যাহত রেখেছেন। আর বিজেপিও এনআরসি পর্যালোচনা বা বিরত থাকার চিন্তা করছে না। সঞ্জয় হাজারিকা ও হর্শ মান্দারের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীরা সব কর্তৃপক্ষের ন্যায্য আচরণ চেয়ে আবেদন করলেও নিপীড়িতদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টও খুব বেশি কোনও ভূমিকা রাখেনি।
কয়েক মাসের মাথায় এখন লাখ লাখ মানুষের (যাদের বেশিরভাগই মুসলমান) অসন্তোষ ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এই ক্ষোভ আসাম ছাড়িয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা সরাসরি এনআরসি নিয়ে বিজেপির বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণার ফলাফল।
কেবলমাত্র আসামে বিজেপির মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাব প্রদর্শণ করে স্বীকার করেছেন যে, অসমিয়া কট্টরপন্থীরাই নিজেদের রাজ্যের ক্ষতি করছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এনিয়ে চুপ থেকেছেন। আর সম্মিলিতভাবে বিজেপি নেতারা আসামের এনআরসি নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে অবজ্ঞা করেছেন।
নিজের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা নাড্ডার ওপর ছেড়ে দিয়ে অমিত শাহ এখন চুপ করে গেছেন। জাতীয় জনসংখ্যা তালিকায় (এনপিআর) পিতামাতার জন্ম রেকর্ড বাধ্যতামূলক, নাকি ঐচ্ছিক হবে এমন সব আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এখন অমিত শাহ কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাদভেদকারকে সামনে ঠেলে দিচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment