ওয়েব ডেস্ক ২১ ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ :গুজরাট রাজ্যের ভূজ জেলায় মেয়েদের একটি কলেজের হোস্টেলে অবস্থান করা ছাত্রীদের ঋতুস্রাব হয়েছে কিনা জানতে অন্তর্বাস খোলার ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট নামের ওই কলেজটি পরিচালনা করে স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় নামের একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়।
স্বামীনারায়ণ ভূজ মন্দিরের অনুসারীরা চালান কলেজের ওই হোস্টেলটি। মন্দিরের কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি নামের এক পুরোহিতের একটি ভিডিও এবার সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে একটি সভায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় কৃষ্ণস্বরূপ দাসজিকে। সেখানে তিনি বলেন, "আপনি যদি একবার কোনো ঋতুমতী অবস্থায় থাকা নারীর হাতে রান্না করা খাবার খান, তাহলে আপনার পরের অবতার নিঃসন্দেহে ষাঁড় হবে।" তিনি আরও বলেন, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনো নারী স্বামীর জন্য রান্না করলে তিনি পরের জন্মে অবশ্যই কুকুর হয়ে জন্ম নেবেন।কথাগুলোর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ওই পুরোহিত দাবি করেন, তার এই কথা শাস্ত্রে লেখা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ওই কলেজের হোস্টেলে একটি ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায়। তারপরেই হোস্টেল প্রশাসনের মনে সন্দেহ জাগে, সেখানে এমন কেউ আছে যার ঋতুস্রাব চলছে। ওই সন্দেহের বশে সেখানে থাকা ৬৮ ছাত্রীর অন্তর্বাস খোলা হয়।
জানা গেছে, শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনো ছাত্রী হোস্টেলে অবস্থান করতে পারবে না। এ সময়ে ছাত্রীদের একটি আলাদা জায়গায় থাকতে হয় এবং রান্নাঘর ও উপাসনার স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে।এদিকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে সোমবার গ্রেফতার করা হয় কলেজের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রানিগা (৩৮) ও আরও তিন কর্মীকে।
স্বামীনারায়ণ ভূজ মন্দিরের অনুসারীরা চালান কলেজের ওই হোস্টেলটি। মন্দিরের কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি নামের এক পুরোহিতের একটি ভিডিও এবার সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে একটি সভায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় কৃষ্ণস্বরূপ দাসজিকে। সেখানে তিনি বলেন, "আপনি যদি একবার কোনো ঋতুমতী অবস্থায় থাকা নারীর হাতে রান্না করা খাবার খান, তাহলে আপনার পরের অবতার নিঃসন্দেহে ষাঁড় হবে।" তিনি আরও বলেন, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনো নারী স্বামীর জন্য রান্না করলে তিনি পরের জন্মে অবশ্যই কুকুর হয়ে জন্ম নেবেন।কথাগুলোর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ওই পুরোহিত দাবি করেন, তার এই কথা শাস্ত্রে লেখা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ওই কলেজের হোস্টেলে একটি ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায়। তারপরেই হোস্টেল প্রশাসনের মনে সন্দেহ জাগে, সেখানে এমন কেউ আছে যার ঋতুস্রাব চলছে। ওই সন্দেহের বশে সেখানে থাকা ৬৮ ছাত্রীর অন্তর্বাস খোলা হয়।
জানা গেছে, শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের হোস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনো ছাত্রী হোস্টেলে অবস্থান করতে পারবে না। এ সময়ে ছাত্রীদের একটি আলাদা জায়গায় থাকতে হয় এবং রান্নাঘর ও উপাসনার স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে।এদিকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে সোমবার গ্রেফতার করা হয় কলেজের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রানিগা (৩৮) ও আরও তিন কর্মীকে।
No comments:
Post a comment