ওয়েব ডেস্ক ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ :গত বছর আগস্ট মাসে ভারতে আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছিল এই তালিকা। সেই তালিকা গায়েব হয়ে গিয়েছে ওয়েবসাইট থেকে। অর্থাত্, ওয়েবসাইটে গেলে আর কোনো তালিকা দেখা যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির ফলেই এই তালিকা এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের কাজ করা হচ্ছে। অতি দ্রুত ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হয়ে এই তথ্যকে তালিকা আকারে প্রকাশ করার দায়িত্ব ছিল উইপ্রোর। কিন্তু এই ঘটনার পরে উইপ্রোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে চাইছে এনআরসির কাজে যুক্ত কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় মোদি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কোনো বিশেষ অভিসন্ধি থেকেও এই কাজ হয়ে থাকতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে এই এনআরসি তালিকায় কারা অন্তর্ভুক্ত ও কারা অন্তর্ভুক্ত নন, তার পুরো তালিকা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করে এনআরসি কমিটি। গত বছর ৩১ অগস্ট এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই তালিকায় সম্মতি দেওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই সম্মতি নিয়ে ফাইনাল তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটল। প্রাথমিকভাবে যে এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়ে। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছিল। যাদের নাম এই তালিকায় নেই, তাদের সব তথ্য দেখে ও আইনি কাজকর্মের পরই তাকে বিদেশি বলা যাবে, তার আগে নয়।
এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর আসামে বিধানসভার বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে চিঠি লিখে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তার অভিযোগ, হঠাত্ করে সব তথ্য এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়া একটা রহস্য। এখন পর্যন্ত এই তালিকা নিয়ে অনেক মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকা কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই কি এভাবে তথ্য গায়েব হলো?
দেবব্রত আরো বলেন, আর সেই কারণেই এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে। এই এনআরসি তালিকার বিরুদ্ধে আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক আগেই এই ঘটনা ঘটল। এগুলো কি সব কাকতালীয়। না এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পর্যন্ত অবমাননা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, যে সার্ভারের আওতায় এই সব তথ্য রাখা হয়েছিল সেই সার্ভারের সাবস্ক্রিপশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা রিনিউ না করায় তথ্য গায়েব হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর উইপ্রোর দিকেই আঙুল তুলেছেন এনআরসি কর্মকর্তারা। তাই উইপ্রোর সঙ্গে আর চুক্তি বাড়াতে চান না তারা। এই সার্ভারকে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একবার সার্ভার চালু হয়ে গেলেই ফের সেই তথ্য দেখা যাবে বলেই জানান কর্মকর্তারা। সার্ভার মেরামত হয়ে যদি এনআরসি তালিকা ফের দেখাও যায়, তাও এই ঘটনার পর কেন্দ্রের মোদি সরকারের দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় চিন্তায় রয়েছেন আসামের মানুষও।
ইতোমধ্যেই এই এনআরসি তালিকাতে দেখা গেছে, একই পরিবারের কারও নাম আছে, তো কারও নেই। এরপর যদি আবার কিছু গণ্ডগোল হয়, সেই আতঙ্কেই রয়েছেন আসামবাসী।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হয়ে এই তথ্যকে তালিকা আকারে প্রকাশ করার দায়িত্ব ছিল উইপ্রোর। কিন্তু এই ঘটনার পরে উইপ্রোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে চাইছে এনআরসির কাজে যুক্ত কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় মোদি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কোনো বিশেষ অভিসন্ধি থেকেও এই কাজ হয়ে থাকতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে এই এনআরসি তালিকায় কারা অন্তর্ভুক্ত ও কারা অন্তর্ভুক্ত নন, তার পুরো তালিকা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করে এনআরসি কমিটি। গত বছর ৩১ অগস্ট এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই তালিকায় সম্মতি দেওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই সম্মতি নিয়ে ফাইনাল তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটল। প্রাথমিকভাবে যে এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়ে। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছিল। যাদের নাম এই তালিকায় নেই, তাদের সব তথ্য দেখে ও আইনি কাজকর্মের পরই তাকে বিদেশি বলা যাবে, তার আগে নয়।
এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর আসামে বিধানসভার বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে চিঠি লিখে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তার অভিযোগ, হঠাত্ করে সব তথ্য এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়া একটা রহস্য। এখন পর্যন্ত এই তালিকা নিয়ে অনেক মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকা কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই কি এভাবে তথ্য গায়েব হলো?
দেবব্রত আরো বলেন, আর সেই কারণেই এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে। এই এনআরসি তালিকার বিরুদ্ধে আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক আগেই এই ঘটনা ঘটল। এগুলো কি সব কাকতালীয়। না এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পর্যন্ত অবমাননা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, যে সার্ভারের আওতায় এই সব তথ্য রাখা হয়েছিল সেই সার্ভারের সাবস্ক্রিপশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা রিনিউ না করায় তথ্য গায়েব হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর উইপ্রোর দিকেই আঙুল তুলেছেন এনআরসি কর্মকর্তারা। তাই উইপ্রোর সঙ্গে আর চুক্তি বাড়াতে চান না তারা। এই সার্ভারকে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একবার সার্ভার চালু হয়ে গেলেই ফের সেই তথ্য দেখা যাবে বলেই জানান কর্মকর্তারা। সার্ভার মেরামত হয়ে যদি এনআরসি তালিকা ফের দেখাও যায়, তাও এই ঘটনার পর কেন্দ্রের মোদি সরকারের দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় চিন্তায় রয়েছেন আসামের মানুষও।
ইতোমধ্যেই এই এনআরসি তালিকাতে দেখা গেছে, একই পরিবারের কারও নাম আছে, তো কারও নেই। এরপর যদি আবার কিছু গণ্ডগোল হয়, সেই আতঙ্কেই রয়েছেন আসামবাসী।
No comments:
Post a comment