ওয়েব ডেস্ক ২৭ শে এপ্রিল ২০২০:ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। ওই অঞ্চলের রায়নগর সংসদে নিজের নামে একটি পুকুর খনন করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপপ্রধান তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌতমবাবু। তার দাবি, রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ ব্লক থেকে একটি তদন্তকারী দল অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর মালগাঁও অঞ্চলে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্টতা না পাওয়ায় বিজেপি ও কংগ্রেস মিলে মহাজোট করে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। প্রধান হন বিজেপির কলাবতি রায় ও উপপ্রধান হন জাতীয় কংগ্রেসের গৌতম বর্মন।
বোর্ড গঠনের পর বিরোধীরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দূর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হলেও এতদিন কেউ সেভাবে গুরুত্ব দেননি। এবারে রায়নগর সংসদের বাসিন্দা কানাই বর্মনের তোলা লিখিত অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন। তার অভিযোগ, ‘উপপ্রধান গৌতম বর্মন ১০০ দিনের প্রকল্পে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। রায়নগর সংসদে নিজের নামে একটি পুকুর খনন করেছেন গৌতমবাবু।’ যদিও গৌতমবাবু, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন, ‘নির্দিষ্ট সিডিউল মেনেই কাজ হয়েছে। গ্রামের জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তবে তারা মানতে চাইছেন না। ব্লক প্রশাসনের তদন্তকারিদল সব বিষয় খতিয়ে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা কানাই বর্মন বলেন, ‘গৌতমবাবু এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে ভুয়ো স্কিম ও মাস্টাররোল বানিয়ে উপভোক্তাদের না জানিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেয়। পরবর্তীতে গৌতম বর্মন সেই সব উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য চাপ দিলেই সন্দেহ তৈরি হয়। উপপ্রধান গৌতমবাবু জানান, ‘আইন মেনেই পুকুর খনন করা হয়েছে। জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হয়েছে।’ যদিও এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান কলাবতি রায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিমল দাস জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে।’ রায়গঞ্জ মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষ জানান, ‘ব্লক তদন্ত করছে। তাই তারাই বলতে পারবে। আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ আসেনি।’
বোর্ড গঠনের পর বিরোধীরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দূর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হলেও এতদিন কেউ সেভাবে গুরুত্ব দেননি। এবারে রায়নগর সংসদের বাসিন্দা কানাই বর্মনের তোলা লিখিত অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন। তার অভিযোগ, ‘উপপ্রধান গৌতম বর্মন ১০০ দিনের প্রকল্পে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। রায়নগর সংসদে নিজের নামে একটি পুকুর খনন করেছেন গৌতমবাবু।’ যদিও গৌতমবাবু, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন, ‘নির্দিষ্ট সিডিউল মেনেই কাজ হয়েছে। গ্রামের জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তবে তারা মানতে চাইছেন না। ব্লক প্রশাসনের তদন্তকারিদল সব বিষয় খতিয়ে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা কানাই বর্মন বলেন, ‘গৌতমবাবু এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে ভুয়ো স্কিম ও মাস্টাররোল বানিয়ে উপভোক্তাদের না জানিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেয়। পরবর্তীতে গৌতম বর্মন সেই সব উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য চাপ দিলেই সন্দেহ তৈরি হয়। উপপ্রধান গৌতমবাবু জানান, ‘আইন মেনেই পুকুর খনন করা হয়েছে। জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হয়েছে।’ যদিও এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান কলাবতি রায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিমল দাস জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে।’ রায়গঞ্জ মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষ জানান, ‘ব্লক তদন্ত করছে। তাই তারাই বলতে পারবে। আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ আসেনি।’
No comments:
Post a comment