ওয়েব ডেস্ক ২৫ শে এপ্রিল ২০২০: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে লকডাউনের প্রথম মাস পূর্ণ হওয়ার দিনই সংক্রমণ রেকর্ড করল। গতকাল শুক্রবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৭০০ জন। মারা যান মোট ৭১৮ জন। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭৮ জন। এরপরই স্থান গুজরাট ও দিল্লির। এই তিন রাজ্যে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ১০০।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ভারতে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা যান মোট ৭২২ জন।
যদিও ভারতে রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্তের দিনে দিল্লি দেখাল আশার আলো। দিল্লির সরকারি এক হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ভর্তি হওয়া চারজন রোগী ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁদের প্লাজমাথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতকাল শুক্রবার নিজেই এ খবর দিয়ে বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন দু–এক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারবেন। তাঁদের একসময় ভেন্টিলেশন দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘এ সাফল্য অবশ্যই প্রাথমিক ফলাফল। এখনই এ কথা বলা যাবে না, করোনার চিকিৎসা বা ওষুধ আমরা পেয়ে গেছি। তবে এ সাফল্য আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’
দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে এ প্লাজমাথেরাপি করেন ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সের চিকিৎসকেরা। ওই সংস্থার মহাপরিচালক এস কে সারিন জানান, ওই সরকারি হাসপাতালে আরও প্লাজমা সংরক্ষিত রয়েছে। তা আরও দু–তিনজন রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এ চিকিৎসায় ১০ জন রোগীও সুস্থ হয়ে উঠলে তা দারুণ ব্যাপার হবে।
যেসব করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ওই অ্যান্টিবডি বা প্রোটিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করে। সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরের রক্ত ও প্লাজমা অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানোই প্লাজমাথেরাপি।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সবাইকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সংকটের মোকাবিলা কীভাবে করব, সেটাও ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের বুঝিয়েছে, বাঁচার জন্য আমাদের নিজেদের ওপরেই নিজেদের আস্থা রাখতে হবে। স্বনির্ভর হতে হবে।’
ভারতের গ্রাম এখনো বহুলাংশে করোনামুক্ত। প্রধানমন্ত্রী তাই গ্রামীণ ভারতকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সময় দাবি করেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ভারতে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা যান মোট ৭২২ জন।
যদিও ভারতে রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্তের দিনে দিল্লি দেখাল আশার আলো। দিল্লির সরকারি এক হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ভর্তি হওয়া চারজন রোগী ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁদের প্লাজমাথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতকাল শুক্রবার নিজেই এ খবর দিয়ে বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন দু–এক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারবেন। তাঁদের একসময় ভেন্টিলেশন দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘এ সাফল্য অবশ্যই প্রাথমিক ফলাফল। এখনই এ কথা বলা যাবে না, করোনার চিকিৎসা বা ওষুধ আমরা পেয়ে গেছি। তবে এ সাফল্য আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’
দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে এ প্লাজমাথেরাপি করেন ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সের চিকিৎসকেরা। ওই সংস্থার মহাপরিচালক এস কে সারিন জানান, ওই সরকারি হাসপাতালে আরও প্লাজমা সংরক্ষিত রয়েছে। তা আরও দু–তিনজন রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এ চিকিৎসায় ১০ জন রোগীও সুস্থ হয়ে উঠলে তা দারুণ ব্যাপার হবে।
যেসব করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ওই অ্যান্টিবডি বা প্রোটিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করে। সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরের রক্ত ও প্লাজমা অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানোই প্লাজমাথেরাপি।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সবাইকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সংকটের মোকাবিলা কীভাবে করব, সেটাও ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের বুঝিয়েছে, বাঁচার জন্য আমাদের নিজেদের ওপরেই নিজেদের আস্থা রাখতে হবে। স্বনির্ভর হতে হবে।’
ভারতের গ্রাম এখনো বহুলাংশে করোনামুক্ত। প্রধানমন্ত্রী তাই গ্রামীণ ভারতকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সময় দাবি করেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
No comments:
Post a comment