ওয়েব ডেস্ক ১১ ই জুন ২০২০:দাস ব্যবসা ও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ভাস্কর্য উচ্ছেদ করছে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। আমেরিকা আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলোম্বাসের একটি ভাস্কর্যের মাথা ফেলে দিয়েছে তারা।সিবিএস বোস্টন জানায়, বুধবার (১০ জুন) ম্যাসাচুসেট্সের বোস্টন শহরে কলম্বাসের ভাস্কর্যটির এই দশা করে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে রিচমন্ড শহরে কলম্বাসের আরেকটি ভাস্কর্য অপসারণ করে লেকে ছুড়ে ফেলা হয়।
বোস্টনে আটলান্টিক অ্যাভিনিউতে কলম্বাস পার্কে ভাস্কর্যটি স্থাপিত করা হয়েছিল। বুধবার সকালে একদল বিক্ষোভকারী এটির মাথার অংশ অপসারণ করে এবং সেটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে।
বোস্টনের মেয়র মার্টি ওয়ালস জানান, ভাস্কর্যটিকে সরিয়ে ফেলা হবে। তবে এটি সংরক্ষণ করে রাখা হবে। পরবর্তীতে আলোচনার সাপেক্ষে ঐতিহাসিক কারণে এটি পুনরায় স্থাপিত করা যায় কী না সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ভার্জিনিয়ায় কলম্বাসের ভাস্কর্যটিকে অপসারণ করে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর শহরের একটি লেকে ভাস্কর্যটি ছুড়ে ফেলে বর্ণবাদ বিরোধীরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভে ভাস্কর্যের পাদদেশে কলম্বাসের বিরুদ্ধে স্লোগান স্প্রে করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কৃষ্ণাঙ্গদের গণহত্যার জন্য এই ইউরোপীয় পর্যটককে দায়ী করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ইতালীয় নাবিক ও ঔপনিবেশিক কলম্বাসের (আনু. ১৪৫১-মে ২০, ১৫০৬) স্পেনীয় উচ্চারণ কোলন থেকে কলোনির উৎপত্তি, যার অর্থ উপনিবেশ। তার আমেরিকা অভিযাত্রা ওই অঞ্চলে ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনের সূচনা করেছিল।
এরপর আমেরিকায় দাস হিসেবে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণাঙ্গদের। সেসময় আফ্রিকায় অনেকগুলো গণহত্যার পেছনে ছিল ইউরোপীয়দের এই দাস ব্যবসা।
২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নির্মমভাবে হত্যা করে এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে সহায়তা দেয় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশটি জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও। যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ হয়। দেশটিতে এক দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য উচ্ছেদ করে নদীতে ছুড়ে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত ‘কুখ্যাত’ বেলজিয়ান রাজা লিওপোল্ড দ্বিতীয়'র মূর্তি উচ্ছেদ করে বিক্ষোভকারীরা।
বোস্টনে আটলান্টিক অ্যাভিনিউতে কলম্বাস পার্কে ভাস্কর্যটি স্থাপিত করা হয়েছিল। বুধবার সকালে একদল বিক্ষোভকারী এটির মাথার অংশ অপসারণ করে এবং সেটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে।
বোস্টনের মেয়র মার্টি ওয়ালস জানান, ভাস্কর্যটিকে সরিয়ে ফেলা হবে। তবে এটি সংরক্ষণ করে রাখা হবে। পরবর্তীতে আলোচনার সাপেক্ষে ঐতিহাসিক কারণে এটি পুনরায় স্থাপিত করা যায় কী না সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ভার্জিনিয়ায় কলম্বাসের ভাস্কর্যটিকে অপসারণ করে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর শহরের একটি লেকে ভাস্কর্যটি ছুড়ে ফেলে বর্ণবাদ বিরোধীরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভে ভাস্কর্যের পাদদেশে কলম্বাসের বিরুদ্ধে স্লোগান স্প্রে করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কৃষ্ণাঙ্গদের গণহত্যার জন্য এই ইউরোপীয় পর্যটককে দায়ী করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ইতালীয় নাবিক ও ঔপনিবেশিক কলম্বাসের (আনু. ১৪৫১-মে ২০, ১৫০৬) স্পেনীয় উচ্চারণ কোলন থেকে কলোনির উৎপত্তি, যার অর্থ উপনিবেশ। তার আমেরিকা অভিযাত্রা ওই অঞ্চলে ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনের সূচনা করেছিল।
এরপর আমেরিকায় দাস হিসেবে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণাঙ্গদের। সেসময় আফ্রিকায় অনেকগুলো গণহত্যার পেছনে ছিল ইউরোপীয়দের এই দাস ব্যবসা।
২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নির্মমভাবে হত্যা করে এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে সহায়তা দেয় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশটি জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও। যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ হয়। দেশটিতে এক দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য উচ্ছেদ করে নদীতে ছুড়ে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত ‘কুখ্যাত’ বেলজিয়ান রাজা লিওপোল্ড দ্বিতীয়'র মূর্তি উচ্ছেদ করে বিক্ষোভকারীরা।
No comments:
Post a comment