ওয়েব ডেস্ক ১৯ শে অগাস্ট ২০২০: আজ সকালেই টুইট করে বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়ে ছিলেন ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই দুঃসংবাদ শোনাল আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতাল । হাসপাতালের তরফে জানানো হল, প্রণববাবু সংকটমুক্ত নন। হঠাৎ তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে তাঁর ফুসফুস। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে যান তিনি। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতাল। অপারেশনের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও তিনি ভেন্টিলেশনেই আছেন। এবার তাঁর ফুসফুসেও ধরা পড়ল সংক্রমণ।
আজ সকালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, “আপনাদের সকলের প্রার্থনা এবং চিকিৎসকদের চেষ্টায় আমার বাবা এখন স্থিতিশীল। তাঁর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা ওঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন।” অভিজিতের এই টুইটে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের এল উদ্বেগের খবর। হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে,”প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এবার তাঁর ফুসফুসেও ছড়িয়েছে সংক্রমণ। তিনি এখনও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে। এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে আছেন”
গত ২৪ অগাস্ট প্রণব-পুত্র তথা জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, চিকিত্সায় অল্প হলেও সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। গত রবিবার তিনি টুইটে লেখেন, ‘ আমি বাবাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ভগবানের আশীর্বাদে এবং আপনাদের সকলের শুভেচ্ছায় গত কয়েক দিনের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁর ক্লিনিক্যাল প্যারামিটারগুলি স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিনি আমাদের মধ্যে দ্রুত ফিরে আসবেন।’
তার আগে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে অভিজিত্ টুইটে লিখেছিলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বনামধন্য সাংবাদিকরা যেভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তাতে ভারত এখন ভুয়ো খবরের কারখানা হয়ে গিয়েছে।’ অন্য একটি টুইটে অভিজিত্ লিখেছেন, ‘আমার বাবা সবসময়ই একজন যোদ্ধা! খুব ধীরে সাড়া দিচ্ছেন চিকিত্সায়।’
No comments:
Post a Comment