ওয়েব ডেস্ক ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২০ :বাঙালির পাতে মাছ আর ভাত হলে আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এর জন্যই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ প্রবাদবাক্যটি। তবে সকল মাছের মধ্যে ইলিশের প্রতি দুর্বলতা সকল বাঙালিরই একটু বেশি।
বাংলাদেশে ইলিশের মৌসুমে হাট-বাজার ইলিশে সয়লাব হয়ে গেলেও এই মাছটির জন্য পশ্চিমবঙ্গবাসীর হা-হুতাশ চোখে পড়ে। এবার তাদের জন্য পুকুরেই ইলিশ চাষে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, ভাতার, মেমারি দুইসহ কয়েকটি ব্লকে মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ইলিশের চাষ। তবে এই ইলিশ আমাদের চেনা ইলিশ নয়, এটি স্বাদে-গন্ধে প্রায় একইরকম পেংবা মাছ, যা মণিপুরী ইলিশ নামেও পরিচিত।
মূলত ইলিশের অভাব মোচনেই এই মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যটির কৃষি তথ্য ও উপদেষ্টা কেন্দ্র এবং কৃষি দপ্তর। গত ৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার এই প্রকল্পে ভাতারে মৎস্যজীবীদের মাছের পোনা ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। ভাতার ব্লকের ১৮ জনের মাঝে ও বর্ধমান ১নং ব্লকের ২০ জনের মাছে এই মণিপুরী ইলিশের পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দেশি পুঁটি মাছের মতো দেখতে হলেও পেংবা বা মণিপুরী ইলিশ আকারে বেশ বড়। এর স্বাদ-গন্ধ একেবারে ইলিশের মতো।
ইলিশের বদলে মাছটি সকলের মন জয় করে নিতে পারবে বলে আশাবাদী মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো জানান, অন্য মাছ বড় করতে অনেক খাবার দিতে হয়। তাতে খরচও বেশি হয়। কিন্তু এই চাষে খাবার দেয়ারও দরকার নেই। উদ্ভিদকণা খেয়েই বেড়ে উঠতে পারে এই মাছ।
শুরুতে গবেষণার জন্য উড়িষ্যা থেকে পেংবা মাছের পোনা আনা হলেও এখন রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানেই তা পাওয়া যাচ্ছে। অধিক মুনাফার আশায় অনেক মৎসজীবী এই মাছ চাষের আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এক বছরের মধ্যেই ওজনে প্রায় চারশ’ গ্রাম পর্যন্ত বেড়ে উঠে এই মাছ।
No comments:
Post a Comment